সর্বশেষ সংবাদ
মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক: পরিবেশগত ছাড়পত্র ও তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) ছাড়া বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীরে থাকা শিল্পকারখানা এক মাসের মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন। পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি ছাড়া বুড়িগঙ্গা তীরে অবস্থিত এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্যাদিসহ নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বুড়িগঙ্গা নদীর পানিদূষণ রোধে আদালতের ইতিপূর্বের রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতিবিষয়ক শুনানিতে ওই আদেশ দেওয়া হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের আজ দাখিল করা এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাশে কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত ৫২টি কারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি নেই। এগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ হলফনামা দিয়ে বলেছে, যেসব পয়োনিষ্কাশন লাইন দিয়ে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য পড়ছে, সেগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে তারা বন্ধ করে দেবে। এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনার জন্য নতুন একটি কমিটি গঠন করা হবে। প্রতি মাসে ওয়াসা প্রতিবেদন দিয়ে অগ্রগতি জানাবে। ওয়াসার কোনো পয়োনিষ্কাশন লাইন দিয়ে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য নিঃসরিত হয় না বলে গত জুনে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতিবেদন আকারে দেওয়া হলফনামা সঠিক নয়। এ জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে আগের প্রতিবেদনটি উপস্থাপন না করার আরজি জানান ওয়াসার আইনজীবী।
আদালত বলেছেন, ওই সব পয়োনিষ্কাশন লাইন বন্ধে ওয়াসার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ভিত্তিতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা মঞ্জুর করে রুল থেকে অব্যাহতির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। পয়োনিষ্কাশন লাইন বন্ধে ওয়াসার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।ওয়াসার পক্ষ থেকে গত ১৮ জুন আদালতকে জানানো হয়, ওয়াসার কোনো পয়োনিষ্কাশন লাইন দিয়ে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য নিঃসরিত হয় না। তবে বিআইডব্লিউটিএর দাখিল করা অপর প্রতিবেদন অনুসারে, ৬৮টি পয়োনিষ্কাশন লাইন বা ড্রেন রয়েছে, যার মধ্যে ওয়াসার ৫৬টি লাইন। এমন প্রেক্ষাপটে গত ১৭ নভেম্বর আদালত দূষণ রোধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় ও বুড়িগঙ্গায় পয়োনিষ্কাশন সংযোগ না থাকা বিষয়ে দৃশ্যত অসত্য তথ্যের বিষয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছিলেন।
আদালতে আবেদনকারী মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া ও রিপন বাড়ৈ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমাতুল করীম। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী উম্মে সালমা।
বুড়িগঙ্গা নদীর পানিদূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে এইচআরপিবির পক্ষে ২০১০ সালে একটি রিট করা হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১১ সালের ১ জুন তিন দফা নির্দেশনাসহ রায় দেওয়া হয়। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য ফেলা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং বুড়িগঙ্গা নদীতে সংযুক্ত সব পয়ঃপ্রণালির লাইন (সুয়ারেজ) ও শিল্পকারখানার বর্জ্য নিঃসরণের লাইন ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশনা রয়েছে। তবে ওই নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল সম্পূরক আবেদন করে এইচআরপিবি। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশনা বাস্তবায়নে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে বিবাদীদের আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।